নন-ক্যাডার চিকিৎসকদের ক্যাডারভুক্তির দাবি

0
455

খবর৭১ঃদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট কাটাতে ৩৯তম বিসিএসে (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার চিকিৎসকদের ক্যাডারভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

এক্ষেত্রে নতুন পদ সৃষ্টি করে ৮ হাজার ৩৬০জন নন-ক্যাডার চিকিৎসককে ক্যাডারভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নন-ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এ দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডা. উম্মে হুমায়রা, ডা. কাজী ইমরান হাসান, ডা. রাফা বিনতে নুর, ডা. মাইনুদ্দীন ও ডা. মাসুমুর রহমান প্রমুখ।

একই দাবিতে আগের দিন শনিবার প্রেসক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধন করেন। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উম্মে হুমায়রা বলেন, দেশের সবগুলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট। ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। এ সংকট মোকাবেলায় ২০১৭ সালের এপ্রিলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সে অনুসারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন(পিএসসি) ৩৯তম বিসিএসের আয়োজন করে। পিএসসির পরিপত্রে ৪ হাজার ৭৯২ জন নিয়োগের কথা বলা হলে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অন্তত ৭ হাজার এবং সম্ভব হলে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা জানান।

এরপর ৪০ হাজার চিকিৎসক ৩৯তম বিসিএসে অংশ নিলে প্রিলিমিনারিতে ১৩ হাজার ২০০জন উত্তীর্ণ হন।

সারাদেশে চিকিৎসকদের শূন্য পদের বর্ণনা দিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে একজন চিকিৎসক যান।

উপজেলার ৩০ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায়, জেলা হাসপাতালগুলো ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যা, ৫০০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করাসহ অনেকগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নতুন ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়েছে ১৩৬টি। দেশে ১০৫টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা ৯ হাজার ৪০৩ জন অথচ প্রয়োজন প্রায় ২৫ হাজার ৩০০ জন। অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ কম। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সংকট মোকাবেলায় অনেক চিকিৎসক নিয়োগ জরুরি। এ কারণেই আমরা এ সংকট মোকাবেলায় ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসককে ক্যাডারভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার পর পিএসসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং অতিরিক্ত ২ হাজার ২৫০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় পিএসসি ৪ হাজার ৭৯২ জনকে সুপারিশ করতে বাধ্য হয়। ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসক মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও শূন্য পদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।

তারা বলেন, এতদিন দেশ নিম্ন আয়ের সারিতে ছিল। ফলে স্বাস্থ্যসেবা ছিল অপ্রতুল। এখন আমরা মধ্যমে যাচ্ছি। এ সময়ে কম চিকিৎক দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্ভব নয়। এ কারণে সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here