খবর৭১ঃশক্তিশালী বিস্ফোরকসহ নতুন ‘কৌশলগত’ একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর পরীক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া তেমন কিছু বলেনি, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, এবার উত্তর কোরিয়ার এমন দীর্ঘ পরিসীমার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর আশঙ্কা কম।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং উনের বৈঠকের পর এটাই এশিয়া দেশটির প্রথম অস্ত্র পরীক্ষা। যদিও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি। দু’টি শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বহু। এমনকি উভয়পক্ষ সমঝোতায়ও ফিরে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৮ সালের নভেম্বরেও একইরকম অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তখন উত্তর কোরিয়ার এ অপচেষ্টাকে চাপের মধ্যে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই দু’দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে আবারও বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দুইদিনের বৈঠকে বসেন ট্রাম্প-কিম। ওই বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনায় সামান্য অগ্রগতিও হয়েছিল। কিন্তু এবারের অস্ত্র পরীক্ষায় আবারও রাজনীতিতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে উত্তর কোরিয়া।
সংবাদমাধ্যম এও বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিম বৈঠকে বসেছিলেন কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা করতে। উভয় নেতা বেশ আগ্রহও দেখান তখন। আলোচনা পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে বলে আত্মবিশ্বাসীও ছিলেন দুই নেতা। কিন্তু সেসময় তাদের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি, ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বৈঠক শেষে যে যার মতো অবস্থা!
গত সপ্তাহে কিম জং উন বলেন, নিরস্ত্রীকরণে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সঠিক মনোভাব’ থাকতে হবে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এর মতে, বুধবারের (১৭ এপ্রিল) অস্ত্র পরীক্ষাটি কিম জং উন নিজে উপস্থিত থেকে করিয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানেই অস্ত্রের পরীক্ষাটি চলে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, পরীক্ষাটি অস্ত্র দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিচালিত হয়। এ নিয়ে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, অস্ত্রটি ভূমি, সমুদ্র বা আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ হতে পারে।
কিম বলছেন, অস্ত্রের পরীক্ষাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দেশের পিপলস আর্মির যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।
কেসিএনএ অস্ত্রটির সক্ষমতা সম্পর্কে তেমন তথ্য দিতে পারেনি। এমনকি এটি কোন প্রকারের ক্ষেপণাস্ত্র তা-ও স্পষ্ট করতে পারেনি। তবে বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক বলছেন, এটি সম্ভবত স্বল্প-সীমার অস্ত্র।
খবর৭১ /জি