খবর ৭১ঃ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু খাল দিয়ে দুই দেশের পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই এইখালের উপর পিলার ও স্লুইচ গেইট নিমার্ণ শুরু করেছে মিয়ানমার, যা দু’দেশের পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এর ফলে শূন্যরেখার পাশাপাশি ঘুমধুম পানিতে তলিয়ে যাবে বলে দাবি স্থানীয়দের।
দু’দেশের দুটি সীমান্ত বিওপি থাকা সত্ত্বেও চোরাচালান ও সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের দোহাই দিয়ে মূলত শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের সরাতে এমন পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের।
বৃস্পতিবার বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠকে স্থাপনা নিমার্ণের পরও দু’দেশের পানির গতিপথ স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত হলেও স্লুইচ গেইট পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বিজিপির কাছে লিখিত চেয়েছে বিজিবি।
এ ব্যাপারে বারবার মিয়ানমারকে প্রতিবাদলিপি দেয়া হলেও কোন সাড়া দেয়নি।
রোহিঙ্গাদের কয়েকজন জানায় তাদেরকে সরাতেই মূলত এটা করা হয়েছে।
কেননা এই খাল ছাড়াও অন্য খাল খালি রয়েছে যেগুলোতে এই জাল দেওয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা পুরো কন্সট্রাকশনের ব্যাখা আমাদের দেবে। ‘
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা। আর ঘুমধুমে বসবাস করছে স্থানীয় ১০ হাজারের অধিক মানুষ।