খবর৭১ঃ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর প্রস্তুত করা হলেও সেখানে যেতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
আপাতত তারা কক্সবাজার ছাড়ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে স্থানান্তরের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের। যে কারণে ১৫ এপ্রিল সোমবার থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু হচ্ছে না। পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত করা হয়েছিলো ভাসানচর। বসবাসের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো ১২০টি গুচ্ছ গ্রাম, ১২০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৪৪০টি ব্যারাক হাউস। এ ছাড়া সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, পুকুর খনন, স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আয়ের পথ সৃষ্টি করতে ছোট দোকান, বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনার পাশাপাশি মহিষ, হাঁস-মুরগি পালন, কুটিরশিল্প, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছচাষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে দু’টি হেলিপ্যাড। এ জন্য একনেকের বৈঠকে নেয়া মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহে সোমবার থেকে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু হচ্ছে না। অনাগ্রহের কারণ জানতে সরকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে হয়তো আবার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ কক্সবাজারে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসতি যোগ হয়েছে। এই জেলাটির প্রকৃত অবস্থা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা অনুমেয়। সে কারণেই সরকার ২০১৭’তে কক্সবাজার থেকে ঝুঁকি কমাতে ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নিতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। এটা কিন্তু রোহিঙ্গাদের সম্মতিতেই হয়েছিলো। এখন হঠাৎ করে তারা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এর কারণ জানতে বা বোঝাতে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো।’ হতাশ হওয়ার কারণ নেই বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
খবর৭১/ইঃ