খবর৭১ঃ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানামুখি উদ্যোগ হাতে নিতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই অংশ হিসেবে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘এরমধ্যে চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে নেয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্ট ছাড়া কোনও চালক মাঠে নামতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিএনসিসিতে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মেয়র এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর ছাত্র আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৈঠকে সরকারি অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা চালকদের ডোপ টেস্টরে আওতায় নিয়ে আসছি। এটা করতে পারলে সড়কে শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরে আসবে। এজন্য কিছুদিন সময় দরকার। আমি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলব, বাস মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা অনেকগুলো কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে লাল রং দিয়ে বাস স্টপেজ লেখা নিশ্চিত করা হবে। জেব্রা ক্রসিং ও পুস বাটন ট্রাফিক সিগনাল ব্যবস্থা চালু করা হবে। শুধু জেব্রা ক্রসিং নয়, এর সঙ্গে ফ্লাস লাইট সিস্টেম চালু হবে। এছাড়া প্রগতি স্মরণীকে মডেল সড়কে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই সন্মলিতভাবে কাজ করতে। সেজন্য আমরা সবকিছু জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসেছি। আজ শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারছে এবং সেই প্রশ্নের উত্তরও আমরা দিচ্ছি।’
বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে অন্যতম ছিল বিআরটিএ-কে দালাল মুক্ত করা। চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানোর পরিবর্তে চালকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনা, বাস স্টপেজ, রোড সাইন সচল করা, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, ছাত্র-ছাত্রীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করা, হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে ভারি যানবাহন না চালানো ও ফুটওভার ব্রিজ না করে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে জোর দেয়া।
এসব দাবির প্রেক্ষিতে বৈঠকে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা বিআরটিএ-কে দালালমুক্ত করতে এরইমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছি। তারা সার্বক্ষণিকভাবে বিআরটিএ-তে কাজ করছে এবং অনেক দালালকে শাস্তি দিয়েছে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই প্রধান, প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মীর রেজাউল আলম, বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী প্রমুখ।