খবর৭১ঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক বলেন, গ্রামীণফোনের কাছে মোট টাকার মধ্যে ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বিটিআরসির এবং ৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে।
বকেয়া টাকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করার কথাও বলা হয়েছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গ্রামীণফোনকে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারের এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে গ্রামীণফোনের বক্তব্য, “পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করা হবে।”
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বিটিআরসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং হিসাবনিরক্ষকদের পুরোপুরি সহযোগিতা করা সত্ত্বেও (সরকারের পক্ষ থেকে) এমন দাবি করা হলো।”
“অডিট করার সময় আমরা কিছু ভুলের বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করেছিলাম। তারপরও আমাদের কথাগুলো শোনা হয়নি। গ্রামীণফোনে আর্থিক স্বচ্ছতা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আইনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়।”
১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের কার্যক্রম শুরু হওয়া থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত অডিট করার পর গত বছর সরকার মোবাইলফোন সংস্থাটির কাছে ১১ হাজার ৫৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করে।
গ্রামীণফোনে বিটিআরসি শেষ অডিট করেছিলো ২০১১ সালে। সেসময় ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা দাবি করা হয়। তখন অডিট সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো মোবাইলফোন সংস্থাটি। ২০১৫ সালের অক্টোবরে তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানিকে গ্রামীণফোনের শুরু থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত লেনদেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখার কাজ করে।
গ্রামীণফোনে ৫৫.৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে নরওয়েজীয় প্রতিষ্ঠার টেলিনরের। গ্রামীণ টেলিকম করপোরেশনের রয়েছে ৩৪.২ শতাংশ শেয়ার। বাকি ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর হাতে।
এর আগে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রবির কাছে সরকার অডিটের মাধ্যমে গত ১৯ বছরে ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে।
রবির বক্তব্য, হিসাবনিরক্ষকরা যেসব কারণে টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন তা এখন বিচারাধীন রয়েছে।