গণশুনানিতে যাদের আমন্ত্রণ করলো ঐক্যফ্রন্ট

0
345

খবর৭১ঃএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগের দিন রাতেই ব্যালটে সিল, কারচুপি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া, এজেন্টদের বের করে দেয়া, প্রার্থী-কর্মীদের ওপর হামলা-গ্রেপ্তারসহ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে গণশুনানির আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিলনায়তনে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই গণশুনানির জন্য ১৮টি দলের নেতাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, তিনিসহ (মিন্টু) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতরের অপর দুই সদস্য আজমেরী বেগম ছন্দা ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান মিলে ১৮টি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি বিতরণ করেছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই আমন্ত্রণপত্র যাদের দেওয়া হয়েছে-

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মবিনুল হায়দার চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।

একটি সূত্র জানায়, চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকেও গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে জামায়াতের যে ২৫ জন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন তাদের বিষয়ে কিছু বলছেন না এই জোটের নেতারা। ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন সেহেতু তারাও গণশুনানিতে উপস্থিত হতে পারেন।

গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করবেন ড. কামাল হোসেন। এছাড়া সভাপতি মন্ডলির সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, আনিসুর রহমান খান,অধ্যাপক আবু সাঈদ খান, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি করার কথা থাকলেও গত মঙ্গলবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন তা দু’দিন এগিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।

গত মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, ঐক্যফ্রন্ট যেন কোথাও গণশুনানি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে না পারে সেই জন্য সরকার রাজধানীর সকল হল রুমগুলো আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন। পুলিশের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোন হলরুম ভাড়া দিচ্ছেনা বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। তাই ২২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি পাওয়ায় কর্মসূচী দু’দিন এগিয়ে শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here