মো.আবু সাইদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: সারাদেশে বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হলেও পতœীতলার একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটি অবহেলার শিকার হয়েছে। উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে অবস্থিত ভাষা শহীদ মিনারটিতে কেউ শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। সরেজমিনে ২১ ফ্রেব্রুয়ারী সকালে গিয়ে দেখা গেছে ভাষা শহীদ মিনারটি অযতেœ পড়ে আছে। পরিচ্ছন্ন না করায় মিনারের বেদীসহ এর আশে পাশের এলাকায় আবর্জনার স্তুপ জমে আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ২০০৩ সালে তৎকালীন সরকার প্রধান নজিপুর-ধামইরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ও উপজেলা গেটের সামনে ভাষা শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে ভাষা দিবসের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই ভাষা শহীদ মিনারটি কতিপয় দুস্কৃতকারী ক্ষতিসাধন করে। এরপর থেকে সেখানে আর কোন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী পালিত হয়নি। বর্তমানে ভাষা দিবসে নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এলাকাবাসী অভিযোগে জানান, পতœীতলার একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও সংস্কার না করায় এটি দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বঘাটেরা বেদীর উপর জুতা পায়ে উঠে নেশাভান করছে। এছাড়াও প্রতি সোমবার হাটের দিন মিনারের সামনে হাঁস-মুরগীর হাট বসায় শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট করছে। যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ বিষয়ে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কাজী আকতার হোসেন তারা বলেন, একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটি অযতেœ রাখায় শহীদদের প্রতি অসম্মান করা হচ্ছে। আমি শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ বলেন, পতœীতলার একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা সময়ের দাবী। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
খবর৭১/ইঃ