খবরর৭১:স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। সর্ব ক্ষেত্রে দেশের অবস্থার পরিবর্তন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে প্রশংসিত করে তুলছে। এই প্রশংসা এবং অর্জনকে ধরে রাখতে হলে গুণগত শিক্ষা দিয়ে দক্ষ চিকিৎসক করতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্টক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি এবং দক্ষ জনবল অত্যন্ত প্রয়োজন।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার মহান মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক আরো বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, বিধায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দেশের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবায় প্রদানে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে এবং এতে স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি নিশ্চিৎ হবে।
অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক, অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সচিব জিএম সালেহ উদ্দিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সিভিল সার্জন অফিস পরিদর্শন করেন। এছাড়া, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত স্থাপনা প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় তাঁর সাথে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক, অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ সুরমার হাজরাই-এর গোয়ালগাও-এ ১০০ একর জমির ওপর প্রস্তাবিত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. এ্ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ ইউনূসুর রহমান, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. ময়নুল হক, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবেদ হুসাইন, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. ওসুল আহমদ চৌধুরী, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনজ্জির আলী, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ মতিন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবু সুফিয়ান, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. দীলিপ কুমার ভৌমিক, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মুমিনুল হক, নর্থ ইস্ট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলবদন, আল আমিন নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী চক্রবর্তী, সিলেট সেন্ট্রাল ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. আব্দুল গাফফার, সিলেট নার্সিং কলেজ ভারপ্রাপ্ত ফয়সল আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. মকন মিয়াসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/জি