হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লাখাইয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ সময় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ৫২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। লাখাই উপজেলার পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে। আহত শুক্লা ঘোষ (২০), রূপন (১৮), ইকবাল (৩০), শাহ আলম (৩৬), জিসান (৩৮), ইকবাল হোসেন (২০), রোকন মিয়া (৫২), ফজল মিয়া (৫৫), নাজমা (৩৭), আব্দুল আল-মুবিন (২০), ফাহিমা (২৫), নাজমুল হক (৩২), মোঃ আলাল মিয়া (৩০), সুমন (২০), মোস্তাকিম (৩৮), ফয়জুল হক (৫২) কে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও শাহ আলম ও ফরাস উদ্দিনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই উপজেলার স্বজন গ্রামের বাসিন্দা ১নং লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ এবং সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদান করা নেতা মারাজ মিয়ার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেয় কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার শরীফপুর গ্রাম থেকে উভয়পক্ষের স্বজনরা। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এতে ইকবাল হোসেনসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। গুরুতর আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (৪০) মারা যান।
আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন জানান, তাদের উভয়পক্ষেরই অষ্টগ্রামের শরীফপুর গ্রামের আত্মীয়স্বজন রয়েছে। তারা সেখান থেকে প্রায়ই দাঙ্গা হাঙ্গামায় এসে যোগ দেয়। এবারও তাই করেছে। সংঘর্ষে ইকবাল মারা গেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। সন্ধ্যায় এ খবর লেখা পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। হাঙ্গামাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।