সুনামগঞ্জ-১ একের ভিতর তিন-গুরু শীষ্য লড়াই। কে পাবেন ধানের শীষ?

0
692

জামালগঞ্জ(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি::

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৪- সংসদীয় এলাকা সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর, ধর্মপাশা)আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)র ৩ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।দলীয় ভাবে একক প্রার্থীর স্থলে তিনজন প্রার্থী কে মনোনয়ন দেওয়ায় পক্ষে বিপক্ষে অালোচনা চলছে।দল থেকে জানানো হয়েছে কৌশলগত কারনে একই আসনে একাধীক প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে।

সোমবার(২৬ নভেম্বর)গুলশানে দলের চেয়ারপার্সন কার্য্যালয় থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমঙ্গীর সারাদেশের ৩০০ টি সংসদীয় আসনের মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি বিতরন শুরু করেন চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
প্রথমদিন সোমবার ভোর রাতে সুনামগঞ্জ-১ আসনে সাবেক ৩ বারের এমপি নজির হোসেন কে প্রার্থীতা ঘোষনা করে চিঠি দেওয়া হয়।

পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে নজির হোসেনর রাজনৈতিক শীষ্যদের একই আসনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক-তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি-সাবেক তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক কে প্রার্থী মনোনীত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-১আসনে বিএনপির ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ায় নতুন করে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে।প্রকৃত অর্থে কে পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতিক তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে।এলাকায় গুঞ্জন-গুরু না শীষ্যদের কেউ চুড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে চলছে হিসাব নিকাশ।যদিও দলের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা দাবী করছেন নজির হোসেনই থাকছেন শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী।কিন্তু দলীয় নেতা আনিসুল হক কে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেনা অনেকেই তিনিও দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মনোনয়নের জন্য লবিং করে যাচ্ছেন।কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।এদিকে কামরুজ্জামান কামরুল তৃণমূল নেতাকর্মীদের সব সময় পাশে রয়েছেন।হাওর দূর্যোগ সহ সব বিষয়ে তিনি ছিলেন সরব।আজ ২৮নভেম্বর পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় তার নমিনেশন পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।একারনে মনোনয়ন বৈধতার প্রশ্ন থেকেই যায়।

নির্বাচনি এলাকায় সরজমিনে বিএনপি নেতাদের সাথে অালোচনা করে জানাযায়,বিএনপিকে সুনামগঞ্জ-১আসন উদ্বার করতে হলে নজির হোসেন কেই চুড়ান্ত ভাবে মনোনয়ন দিতে হবে।কারন নির্বাচনি মাঠে নজির হোসেনের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহনযোগ্যতা।তিনি এখান থেকে ৩ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।একসময়ে নৌকা প্রতিকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার সুবাধে অনেক আ’লীগ নেতাকর্মীর সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক।এবার আ’লীগের ডজন খানেক হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরোধীতা সত্তেয় মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নৌকা প্রতিক দেওয়ায় তৃণমূল বিভক্তি দেখা দিয়েছে।রতনকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারছেনা তৃণমূল আ’লীগের বিশাল একটি অংশ।যদি শেষ পর্যন্ত আ’লীগের এই বিভক্তি থেকে যায় তাহলে সুযোগটি একমাত্র নজির হোসেনই কাজে লাগাতে পারেন।তাছাড়া প্রার্থী হিসাবে নজির হোসেন মোয়াজ্জেম হোসেন রতন থেকে এগিয়ে রয়েছেন।সব মিলিয়ে এই আসনের জন্য নজির হোসেন একজন যোগ্য প্রার্থী।

জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন,আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ট নিরপেক্ষ হলে বিপুল ভোটে বিএনপি জয়লাভ করবে।দল যাকেই ধানের শীষ দিবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব।এমন প্রত্যাশা বিএনপি নেতাকর্মীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here