সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হলেও সৈয়দপুর উপজেলা শতভাগ স্মার্টকার্ড (ভোটার আইডি) বিতরণ হয়নি। এখনও ৫৯ হাজার ৫৭ জন ভোটার স্মার্টকার্ডের আওতার বাহিরে রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬ হাজার ২৯ জন ভোটারের স্মার্টকার্ড নির্বাচন দপ্তরে রক্ষিত রয়েছে। আর ২৩ হাজার ২৮ জন ভোটাররা কার্ড এখনও আসেনি। তবে নির্বাচন দপ্তরে রাখা বিপুল সংখ্যক কার্ডের বিতরণ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে নির্বাচন দপ্তর। গত এপ্রিল মাসে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শেষ হলে গত ৬ মাসেও এসব ভোটারদের মাঝে কার্ড সংগ্রহে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় হালনাগাদ সর্বমোট ভোটার হচ্ছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭ জন । তার মধ্যে নারী ভোটার ৯৩ হাজার ৮৩৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯৫ হাজার ২২৪ জন। নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় সৈয়দপুরে স্মার্টকার্ড ইস্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৯ জন ভোটারের। বিতরণ কার্যক্রমে ১ লাখ ৩০ হাজার ভোটারের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখনও ৩৬ হাজার ২৯ জন ভোটারে কার্ড বিতরণ হয়নি। ভোটাররা না আসায় এসব কার্ড নির্বাচন দপ্তরে পড়ে রয়েছে। কার্ড নিতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ভোটারদের মাঝে। এতে করে কার্ড সংরক্ষণ করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে নির্বাচন দপ্তর।
অপরদিকে স্মার্টকার্ড আসেনি ২৩ হাজার ২৮ জন ভোটারের। এসব ভোটাররা কার্ড কবে আসবে তাও বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন বাদ পড়া ভোটারের কার্ডের চাহিদা পত্র দিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। কার্ড আসলে বিতরণে উদ্যোগ নেয়া হবে।
জানতে চাইলে, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম জানান, দপ্তরে আটকে থাকা কার্ড নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দপ্তর থেকে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। ভোটাররা নির্বাচনের পর কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে যাদের কার্ড আসেনি, এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব ভোটাররা স্মার্টকার্ড পাননি তারাও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে পুরাতন আইডি কার্ড বৈধ হিসাবে গ্রহন করা হবে।