নড়াইলে আধুনিকায়নের কাছে কালের পরিক্রমায় গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি!

0
378

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে আধুনিকায়নের কাছে এখন মূল্যহীন কালের পরিক্রমায় আধুনিকতার স্পর্শে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী আঁকাবাঁকা মেঠো পথে ধীরে ধীরে বয়ে চলা গরুর গাড়ি এখন আর চোখে পড়ে না। যা একসময় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহন হিসেবে প্রচলিত ছিল এবং গ্রাম বাংলায় গরুর গাড়িই যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, এক সময় জনপদে এই বাহনের সরগরম অস্তিত্ব ছিল, সর্বত্র কদরও ছিল গরুর গাড়ির। মাত্র দুই যুগ আগেও পণ্য পরিবহন ছাড়াও বিবাহের বর-কনে বহনে বিকল্প কোন বাহন কল্পনাই করা যেত না। যেসব পরিবারে গরুর গাড়ি ছিল, তাদের কদরের সীমা ছিল না। কৃষকরা প্রতিদিন ফজরের আজানের আগে গরুর গাড়িতে কখনো জৈবসার (গোবর সার) কখনো গরুর খাবার ও লাঙ্গল-মই-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেত। সুপ্রাচীনকাল থেকে দেশের গ্রামীণ জনপদে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে গরুর গাড়ির বহুল প্রচলন পরিলক্ষিত হতো। পায়ে চলার পথে মানুষ পশুর শ্রমে চলিত গরুর গাড়ি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ও বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনে প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহার করত প্রাচীনকাল থেকেই। এখন আর তাকিয়ে থাকলেও গরুর গাড়ি চোখে পড়ে না। আধুনিকতার দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে গাড়িয়াল পেশাও। যা একদা ছিল বংশ পরম্পরায়। সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারকবাহক অনেক বাহনেরই আমূল পরিবর্তন, আধুনিকায়ন সাধিত হয়েছে। এ বিষয়ে নড়াইলের একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বললে তারা জানান, এখন যেমন আমরা নিজেদের ব্যাবহারের জন্য প্রাইভেটকার বা মটরসাইকেল ক্রয় করে থাকি, ঠিক তেমনি আগে গ্রামের লোকজন গরুর গাড়ি তৈরি করে বাড়িতে রাখতেন। আপদ-বিপদে তা তারা বাহন হিসেবে ব্যবহার করতেন। গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে আরো এক ব্যাক্তি, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা) ও বুলু দাস, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, গরুর গাড়ি এখন থেকে স্মৃতির জাদুঘরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা চাই জাদুঘরে খুব যতœ ও গুরুত্বের সাথে এটি সংরক্ষণ করা হোক। কারণ আধুনিকায়নের কাছে এটি এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য এগুলো ইতিহাস হয়ে থাকবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here