খবর ৭১ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক নৈশ প্রহরীকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক খুনিকে ধরে গলধোলাই ও পুড়িয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার শালবাগান ও হাটতলা মোড়ে এই দুই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নৈশ প্রহরী সুরুজ আলী ভোরে শালবাগান মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। এর পরপরই হাটখোলা মোড়ে দায়িত্বরত নৈশপ্রহরী শহীদ (৪০) ‘দুর্বৃত্তের’ ছুরিকাঘাতে আহত হন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং সকাল ৬টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এর মধ্যে জেলখানা মোড় এলাকায় রবিউলের বাড়িতে রক্তমাখা জামা-কাপড় পাওয়া গেলে তাকে খুঁজতে শুরু করে জনতা।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর তেরমাইল গড়েয়া এলাকায় সন্দেহভাজন রবিউলকে পাওয়া গেলে তাকে ধরে শালবাগান এলাকায় এনে গণধোলাই দেয় জনতা। পরে তার গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, প্রাথমিকভাবে নিহত রবিউলকে নৈশ প্রহরী হত্যায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। একারণেই লাকাবাসী তাকে ধরে এনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
নিহত নৈশ প্রহরী সুরুজ আলী (৫০) বীরগঞ্জ পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। আর জনতার হাতে নিহত রবিউল ইসলাম (৩২) একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।